To Start a Profitable Niche Blog in 2025 | কিভাবে ব্লগিং করলে প্রফিট নিয়ে আসা সম্ভব
আপনি হয়তো ভাবতেছেন কিভাবে ব্লগিং করলে লাভবান হবেন কিংবা ভাল ভিসিটর পাবেন! আমিও একসময় তাই ভাবতাম, সঠিক দিক নির্দেশনা না পেলে কতটা ক্ষতিকর এবং সময় অপচয় হয় তা আমার চেয়ে মনেহয় কেউ ভাল জানেনা। এখানে আমি ব্লগিং এর মূল বিষয়গুলো তুলে ধরবো সংক্ষিপ্তভাবে যেগুলোর উপর আপনি ফোকাস করলে মোটামোটি একটি ভাল পর্যায়ে যেতে পারবেন।
আপনার মনে হয়তো প্রশ্ন জাগতে পারে আমি কেন হাজারো লাভজনক ব্লগ করিনা! হ্যা, আমি ব্লগিং করি এবং ব্লগিং হচ্ছে আমার প্রধান পেশা। তবে আমি ছোটাখাটো কিছু সার্ভিস দিয়ে যদি বাড়তি আয় করতে পারি তাহলে নিশ্চয় মন্দ নয়! একটা বিষয় আপনাকে মাথায় রাখতে হবে আর সেটা হলো, আপনি কোন টপিক্স এর উপর নতুন করে যদি ব্লগিং করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই সময় দিতে হবে ভাল ফলাফল এর জন্য। ব্লগিং এক দুইমাসের কাজ নয়, সুতরাং আপনাকে মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে ব্লগিং শুরু করার আগে।
আসুন দেখে নিন কিভাবে ব্লগিং শুরু করা যায়ঃ
Niche Research & Domain Name
Keywords Research
Reliable and Faster Web Hosting
Accessible WordPress Design, Color and Topical Map
Blog Writing
SEO Framework
Link Building
1) Niche Research & Domain Name
বর্তমান অনলাইন বাজারে কম্পিটিশন ছাড়া নিশ নেই বলতে গেলে চলে, তারপর ও বিভিন্ন স্ট্রাটেজি প্রয়োগ করে আমাদের সাফল্যের জন্য কাজ করতে হবে। নিশ রিসার্চ বলতে একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের বা বাজারের গভীর বিশ্লেষণকে বোঝায়, যা একটি ওয়েবসাইট বা ব্যবসার জন্য প্রাসঙ্গিক ডোমেইন নির্বাচন করতে সহায়তা করে। এটি এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে আপনি খুঁজে বের করেন যে কোন নির্দিষ্ট বিষয় বা সেগমেন্টে মানুষ বেশি আগ্রহী এবং সেখানে প্রতিযোগিতা কেমন।
নিশ রিসার্চ করার সময় সাধারণত এই বিষয়গুলো দেখা হয়:
- ট্রাফিক পটেনশিয়াল: ঐ বিষয়ের জন্য কত মানুষ সার্চ করে।
- কীওয়ার্ড বিশ্লেষণ: জনপ্রিয় কীওয়ার্ডগুলো কি এবং সেগুলোতে র্যাংক করার সম্ভাবনা।
- প্রতিযোগিতা: আপনার টার্গেট নিশে প্রতিযোগীরা কেমন কাজ করছে।
- মনিটাইজেশন অপশন: ঐ নিশ থেকে আয় করার সুযোগ কতটা।
যেমন, আপনি যদি ফুড রেসিপির উপর একটি ব্লগ বানাতে চান, তবে আপনাকে দেখতে হবে ফুড রেসিপি বিষয়টি কতটা জনপ্রিয়, সেই সাথে এর কোন নির্দিষ্ট অংশে (যেমন এয়ার ফ্রায়ার রেসিপি) কম প্রতিযোগিতা আছে কিন্তু বেশি সার্চ ভলিউম। এরপর, ঐ সুনির্দিষ্ট নিশ নিয়ে কাজ করলে আপনি ভালো ফলাফল পাবেন।
নিশ রিসার্চ সঠিকভাবে করলে আপনি একটি ডোমেইন বা ব্লগের জন্য এমন বিষয় খুঁজে পাবেন যা লাভজনক এবং ভবিষ্যতে ভালো ট্রাফিক আনতে সাহায্য করবে।
Niche Domain Research
Low Competitive এবং High Search Volume Niche নির্বাচন করব। এই Niche এর মধ্যে ২-৩ শব্দের High SV কিওয়ার্ড বের করে, সেটি Exact Domain Match হিসেবে ডোমেইন নিবন্ধন করব।
2) Keywords Research (কীওয়ার্ড রিসার্চ: SEO-র ভিত্তি)
আজকে আমরা SEO-এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের একটি নিয়ে কথা বলব, যাকে আমরা বলি কীওয়ার্ড রিসার্চ। এটি এমন একটি প্রক্রিয়া, যা আমরা ওয়েবসাইটের জন্য সঠিক শব্দ বা বাক্যাংশ খুঁজে বের করার জন্য ব্যবহার করি।
যারা নতুন, তাদের জন্য সহজ ভাষায় বলি—কীওয়ার্ড হচ্ছে সেই শব্দ বা বাক্যাংশ, যা মানুষ গুগল বা অন্য সার্চ ইঞ্জিনে খুঁজে থাকে।
2.1) কীওয়ার্ড রিসার্চ কেন প্রয়োজন?
আপনার যদি একটা দোকান থাকে এবং আপনি জানেন না যে মানুষ কী কিনতে চায়, তাহলে কি আপনি সফল হতে পারবেন? না, তাই তো? ঠিক তেমনি, আপনার ওয়েবসাইটের জন্য কীওয়ার্ড রিসার্চ করলে আপনি জানতে পারবেন:
- মানুষ কী ধরনের তথ্য বা পণ্য খুঁজছে।
- কোন বিষয়ে কন্টেন্ট লিখলে বেশি ভিজিটর পাবেন।
- প্রতিযোগিতা কেমন এবং কীভাবে সেটা সামলাতে হবে।
2.2) কীভাবে কীওয়ার্ড রিসার্চ করি?
এখন আপনাদের আমি একটা সাধারণ প্রক্রিয়া শিখিয়ে দিচ্ছি:
- নিজের টপিক নির্ধারণ করুন: প্রথমে বুঝতে হবে আপনি কী নিয়ে কাজ করছেন। যেমন, আপনার সাইট যদি এয়ার ফ্রায়ার নিয়ে হয়, তাহলে টপিক হতে পারে “এয়ার ফ্রায়ার রেসিপি”।
- কীওয়ার্ড আইডিয়া বের করুন: এই ধাপে আপনি বিভিন্ন টুল বা ম্যানুয়ালি এমন শব্দ খুঁজবেন, যা মানুষ সার্চ করছে।
- গুগল সার্চের “অটো-সাজেশন” দেখে।
- টুল ব্যবহার করে, যেমন: Google Keyword Planner, Ahrefs, বা Ubersuggest।
- কীওয়ার্ড বিশ্লেষণ করুন: এখন আপনাকে দেখতে হবে:
- সার্চ ভলিউম: কতজন এটি সার্চ করে।
- কষ্টের স্তর (Competition): এটি কি সহজে র্যাংক করা যাবে?
- কনটেক্সট: এটি আপনার টপিকের সাথে সম্পর্কিত কি না।
- প্রাথমিক এবং লং-টেইল কীওয়ার্ড খুঁজুন:
- প্রাথমিক কীওয়ার্ড: ছোট এবং জনপ্রিয় শব্দ। যেমন, “এয়ার ফ্রায়ার”।
- লং-টেইল কীওয়ার্ড: দীর্ঘ এবং নির্দিষ্ট বাক্যাংশ। যেমন, “বেস্ট স্মল এয়ার ফ্রায়ার ফর হেলদি কুকিং”।
2.3) লো কম্পেটিটিভ কীওয়ার্ড কেন গুরুত্বপূর্ণ?
- সহজে র্যাংক করা যায়: যেহেতু প্রতিযোগিতা কম, তাই সার্চ ইঞ্জিনে আপনার কনটেন্ট সহজেই উপরে উঠে আসতে পারে। এতে নতুন ব্লগার বা ছোট সাইট মালিকদের অর্গানিক ট্রাফিক পেতে সুবিধা হয়।
- কম সময় ও পরিশ্রমে ফলাফল: হাই কম্পেটিটিভ কীওয়ার্ডে র্যাংক করতে অনেক সময়, ভালো ব্যাকলিংক এবং কনটেন্টের প্রয়োজন হয়। কিন্তু লো কম্পেটিটিভ কীওয়ার্ডের ক্ষেত্রে তুলনামূলকভাবে সহজেই র্যাংক করা যায়।
- টার্গেটেড অডিয়েন্স পাওয়া যায়: লো কম্পেটিটিভ কীওয়ার্ড সাধারণত বেশি নির্দিষ্ট বা নিস টার্গেটেড হয়। ফলে সেই কীওয়ার্ড দিয়ে আপনি সঠিক দর্শক বা কাস্টমারদের কাছে পৌঁছাতে পারবেন।
- নতুনদের জন্য:
যারা নতুনভাবে SEO শুরু করেছেন বা তাদের ওয়েবসাইটে খুব বেশি অর্গানিক ট্রাফিক নেই, তাদের জন্য লো কম্পেটিটিভ কীওয়ার্ড বেছে নেওয়া সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ।
2.4) উদাহরণ:
ধরুন, আপনি “এয়ার ফ্রায়ার রেসিপি” নিয়ে কাজ করছেন। “এয়ার ফ্রায়ার রেসিপি” খুবই কম্পেটিটিভ একটি কীওয়ার্ড, কিন্তু যদি আপনি “বাচ্চাদের জন্য এয়ার ফ্রায়ার রেসিপি” বা “এয়ার ফ্রায়ারে ঝটপট নাশতার রেসিপি” ব্যবহার করেন, তাহলে আপনি লো কম্পেটিটিভ কীওয়ার্ডের সুবিধা পাবেন।
লো কম্পেটিটিভ কীওয়ার্ড ব্যবহার করলে আপনি ধীরে ধীরে আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগের জন্য ট্রাফিক তৈরি করতে পারবেন এবং ভবিষ্যতে বড় কীওয়ার্ডেও কাজ করার সুযোগ পাবেন।
Keyword Research শুরু করার আগে, টপিক্যাল ম্যাপ অনুযাহি ৫-৭ টা ক্যাটাগরি বের করা হবে। এবং প্রতিটা ক্যাটাগরি এর জন্যে ১০০+, সর্বমোট ১ হাজার কীওয়ার্ড বের করা হবে, যেগুলা অথরিটি এর পাশাপাশি rank করতে হেল্প করবে।
2.5) সঠিক কীওয়ার্ড নির্বাচনের কৌশল
- ইউজার ইন্টেন্ট বুঝুন: মানুষ কী উদ্দেশ্যে সার্চ করছে, সেটা ধরতে হবে।
- কম প্রতিযোগিতামূলক কীওয়ার্ড বেছে নিন: নতুন ওয়েবসাইটের জন্য কম প্রতিযোগিতামূলক শব্দ নির্বাচন করা ভালো।
- ট্রেন্ড দেখুন: Google Trends-এ দেখে নিন, আপনার কীওয়ার্ড জনপ্রিয় কি না।
শেষ কথাঃ কীওয়ার্ড রিসার্চ ঠিকভাবে করতে পারলে আপনি আপনার সাইটের ট্রাফিক বাড়াতে পারবেন। মনে রাখবেন, শুধু কীওয়ার্ড বেছে নেওয়াই যথেষ্ট নয়, সেগুলোকে সঠিকভাবে কন্টেন্টে ব্যবহার করাও গুরুত্বপূর্ণ।
Keywords Research
আপনার Niche এর জন্য ৫-৭টি ক্যাটাগরি বের করব এবং প্রতিটি ক্যাটাগরির জন্য ১০০+ কিওয়ার্ড (ইনফরমেশনাল), সর্বমোট ১ হাজার কিওয়ার্ড (কম-বেশি হতে পারে) বের করব, যা SEO র্যাঙ্কিং এ সহায়তা করবে।
3) Reliable and Faster Web Hosting (ওয়েব হোস্টিং: ব্লগারদের জন্য কেন গুরুত্বপূর্ণ)
আজকে আমরা ওয়েব হোস্টিং নিয়ে কথা বলব। যারা নতুন, তাদের জন্য সহজ ভাষায় বলতে গেলে, ওয়েব হোস্টিং হচ্ছে এমন একটি পরিষেবা, যা আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগকে ইন্টারনেটে দৃশ্যমান করে।
ধরুন, আপনার একটি দোকান আছে। দোকান চালানোর জন্য আপনাকে একটি জায়গা ভাড়া নিতে হয়। ঠিক তেমনি, একটি ওয়েবসাইট চালানোর জন্য আপনাকে একটি হোস্টিং সার্ভার দরকার হয়, যেখানে আপনার সাইটের সব ডেটা রাখা হবে।
3.1) ওয়েব হোস্টিং কী?
ওয়েব হোস্টিং একটি পরিষেবা, যা আপনাকে একটি সার্ভার ভাড়া দেয় যেখানে আপনার ওয়েবসাইটের ফাইল, ইমেজ, ভিডিও, এবং অন্যান্য ডেটা সংরক্ষিত হয়। যখন কেউ আপনার ওয়েবসাইটের লিংকে ক্লিক করে, তখন হোস্টিং সার্ভার সেই তথ্য ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের দেখায়।
3.2) ওয়েব হোস্টিং-এর প্রকারভেদ
আপনারা শুনে থাকবেন, ওয়েব হোস্টিংয়ের বিভিন্ন ধরণ রয়েছে। কিছু সাধারণ ধরণ হলো:
- শেয়ার্ড হোস্টিং: সবার জন্য সাশ্রয়ী। তবে একাধিক ওয়েবসাইট একই সার্ভার ব্যবহার করে।
- VPS হোস্টিং: এখানে আপনি আলাদা ভার্চুয়াল সার্ভার পান। এটি শেয়ার্ড হোস্টিং থেকে বেশি দ্রুত।
- ডেডিকেটেড হোস্টিং: একটি পুরো সার্ভার শুধুমাত্র আপনার জন্য বরাদ্দ। এটি বড় সাইট বা ব্লগের জন্য উপযুক্ত।
- ক্লাউড হোস্টিং: আপনার সাইট একাধিক সার্ভারে সংরক্ষিত থাকে। এটি দ্রুত এবং নির্ভরযোগ্য।
3.3) দ্রুত এবং নির্ভরযোগ্য হোস্টিং কেন গুরুত্বপূর্ণ?
আমরা ব্লগারদের জন্য দ্রুত এবং নির্ভরযোগ্য হোস্টিং কেন গুরুত্বপূর্ণ তা সহজ করে বুঝি।
১. ওয়েবসাইটের গতি বাড়ায়
গুগল এখন এমন সাইটকে বেশি র্যাংক দেয়, যেগুলো দ্রুত লোড হয়।
- যদি আপনার সাইট ধীরগতি হয়, তাহলে ভিজিটররা বিরক্ত হয়ে সাইট ছেড়ে চলে যায়।
- দ্রুত হোস্টিং আপনার পেজ লোড টাইম কমায়, যা SEO-র জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
২. সাইটের আপটাইম নিশ্চিত করে
আপনার সাইট যদি প্রায়ই ডাউন থাকে, তাহলে ভিজিটররা আসতে চাইবে না।
- একটি ভালো হোস্টিং কোম্পানি ৯৯.৯% আপটাইম নিশ্চিত করে।
৩. SEO র্যাংকিং উন্নত করে
গুগল এমন সাইটকে পছন্দ করে, যা দ্রুত এবং ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা ভালো।
- ধীর এবং ডাউন সাইটের জন্য আপনার SEO-তে ক্ষতি হতে পারে।
৪. সিকিউরিটি প্রদান করে
একটি ভাল হোস্টিং সার্ভার আপনার সাইটকে হ্যাকারদের আক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
- SSL সার্টিফিকেট, ব্যাকআপ অপশন, এবং ম্যালওয়্যার প্রটেকশন একটি ভালো হোস্টিং সার্ভারে থাকে।
ব্লগারদের জন্য আমার পরামর্শ
আপনারা যারা ব্লগিং শুরু করছেন বা ইতিমধ্যেই করছেন, তারা দ্রুত এবং নির্ভরযোগ্য হোস্টিং বেছে নিন।
- শুরুতে শেয়ার্ড হোস্টিং ব্যবহার করতে পারেন।
- যখন আপনার ব্লগে ট্রাফিক বাড়বে, তখন VPS বা ক্লাউড হোস্টিং ব্যবহার করা ভালো।
- ভালো কোম্পানিগুলো হলো: Namecheap, Bluehost, SiteGround, Hostinger ইত্যাদি।
শেষ কথা: একটি ভালো হোস্টিং আপনার ব্লগের ভবিষ্যত নির্ধারণ করতে পারে। মনে রাখবেন, আপনার কন্টেন্ট যত ভালোই হোক না কেন, যদি আপনার সাইট ধীর বা প্রায়ই ডাউন হয়, তাহলে সেটা গুগল বা ভিজিটর কেউই পছন্দ করবে না।
তাই শুরু থেকেই ভালো হোস্টিং বেছে নিন।
Webhosting for New Blogger
আপনি যদি নতুন ব্লগার হয়ে থাকেন তাহলে আমি কম খরচে Namecheap হস্টিং রিকোমেন্ড করি, আমি নিজে ও ব্যবহার করি।
4) Accessible WordPress Design, Color and Topical Map
আজকে আমরা ব্লগিংয়ের একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম ওয়ার্ডপ্রেস, ডিজাইন ও রঙের ভূমিকা এবং একটি নতুন ধারণা টপিক্যাল ম্যাপ নিয়ে কথা বলব। এই বিষয়গুলো একজন সফল ব্লগারের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
4.1) ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগিং কেন ভালো?
ওয়ার্ডপ্রেস এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যা ব্যবহার করা সহজ এবং ব্লগিংয়ের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয়।
কেন এটি ভালো?
- ইউজার ফ্রেন্ডলি: কোডিং না জানলেও আপনি ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে সহজেই ব্লগ তৈরি করতে পারবেন।
- প্লাগইন সমর্থন: ওয়ার্ডপ্রেসে হাজারো প্লাগইন আছে, যা SEO, ডিজাইন, এবং স্পিড অপ্টিমাইজেশনে সাহায্য করে।
- SEO-ফ্রেন্ডলি: Yoast SEO বা Rank Math-এর মতো প্লাগইন ব্যবহার করে সহজেই কন্টেন্ট অপটিমাইজ করা যায়।
- রেস্পন্সিভ ডিজাইন: ওয়ার্ডপ্রেসের থিমগুলো মোবাইল, ট্যাবলেট, এবং ডেস্কটপে সুন্দর দেখায়।
4.2) অ্যাক্সেসিবল ওয়ার্ডপ্রেস ডিজাইন কেন দরকার?
আপনার ব্লগের ডিজাইন যদি সবার জন্য সহজবোধ্য না হয়, তাহলে আপনি অনেক ভিজিটর হারাবেন।
ইউজার এক্সপেরিয়েন্স ভালো করে: অ্যাক্সেসিবল ডিজাইন মানে এমন ডিজাইন, যা সবার জন্য পড়তে ও ব্যবহার করতে সহজ। আপনি এমন একটাই ব্লগে ভিসিট করলেন যেটাই অনেক ভাল তথ্য আছে কিন্তু ব্লগের ডিজাইন খারাফ হওয়াই তথ্যগুলো পড়তে আপনার অনেক কস্ট হচ্ছে তখন হয়তো আপনি ওই ব্লগ থেকে বেরিয়ে যাবেন। আর সেটার ফিডবেক আপনি গুগল থেকে পাবেন, যার ফলাফল আসবে “ডাউন র্যাঙ্কিং”।
SEO বেনিফিট: গুগল এমন সাইটকে পছন্দ করে, যা সহজে ব্যবহারযোগ্য।
4.3) ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে রঙের গুরুত্ব
আজ আমরা ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে রঙের ভূমিকা নিয়ে কথা বলব। রঙ শুধু সৌন্দর্যের জন্য নয়, এটি মানুষের আবেগ, মনোযোগ এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে সরাসরি প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে ব্লগিং ও মার্কেটিংয়ে সঠিক রঙ নির্বাচন সাফল্যের বড় একটি অংশ।
রঙ শুধু ডিজাইনের অংশ নয়, এটি ভিজিটরের মনোযোগ ধরে রাখে এবং তাদের সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করে।
১. রঙের মনস্তত্ত্ব (Color Psychology)
রঙের বিভিন্ন মানে এবং আবেগ রয়েছে। এটি সরাসরি আপনার টার্গেট ভিজিটরদের অনুভূতিতে প্রভাব ফেলে।
- লাল: উত্তেজনা, শক্তি এবং জরুরি বিষয়ের প্রতীক। এটি বিক্রয়ের জন্য উপযুক্ত।
উদাহরণ: ডিসকাউন্ট বা “বাই নাউ” বোতামে লাল রঙ বেশি কার্যকর। - নীল: বিশ্বাসযোগ্যতা, পেশাদারিত্ব, এবং শান্তি প্রকাশ করে।
উদাহরণ: ব্যাংক ও কর্পোরেট কোম্পানির লোগোতে নীল রঙ বেশি দেখা যায়। - সবুজ: প্রকৃতি, স্বাস্থ্য এবং ইতিবাচকতার প্রতীক।
উদাহরণ: স্বাস্থ্য বা পরিবেশ-সম্পর্কিত ব্লগে সবুজ রঙ বেশি কার্যকর। - হলুদ: আনন্দ এবং আত্মবিশ্বাসের প্রতীক।
উদাহরণ: মনোযোগ আকর্ষণ করতে এটি ব্যবহার করা হয়।
২. রঙের মাধ্যমে ব্র্যান্ডিং
একটি নির্দিষ্ট রঙ ব্র্যান্ডের পরিচিতি গড়ে তুলতে সাহায্য করে।
- ভিজিটররা যদি একটি রঙের সঙ্গে আপনার ব্র্যান্ডকে চিনতে পারে, তাহলে এটি দীর্ঘমেয়াদে বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি করে।
- উদাহরণ: কোকা-কোলার লাল রঙ বা ফেসবুকের নীল রঙ।
৩. ক্লিক-থ্রু রেট (CTR) বাড়ায়
সঠিক রঙের বোতাম বা লিঙ্ক ব্যবহার করলে ভিজিটরদের ক্লিক করার প্রবণতা বেড়ে যায়।
- উদাহরণ: কমলা বা সবুজ রঙের “সাইন আপ” বা “গেট স্টার্টেড” বাটন বেশি কার্যকর।
৪. ইউজার এক্সপেরিয়েন্স উন্নত করে
রঙের ব্যবহার যদি সঠিক হয়, তাহলে সাইট ভিজিটরের চোখের জন্য আরামদায়ক হয়।
- উদাহরণ: গাঢ় ব্যাকগ্রাউন্ডে হালকা ফন্ট বা হালকা ব্যাকগ্রাউন্ডে গাঢ় ফন্ট ব্যবহার করলে রিডেবিলিটি বাড়ে।
৫. বিভিন্ন কালচারের প্রভাব
রঙের মানে অঞ্চলভেদে ভিন্ন হতে পারে।
- উদাহরণ: পশ্চিমা দেশগুলোতে সাদা রঙ পবিত্রতার প্রতীক, কিন্তু এশিয়ার কিছু দেশে এটি শোক প্রকাশের জন্য ব্যবহৃত হয়।
এজন্য টার্গেট অডিয়েন্সের কালচার বুঝে রঙ ব্যবহার করা উচিত।
৬. ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে রঙ কিভাবে ব্যবহার করবেন?
- আপনার ব্র্যান্ডের উদ্দেশ্য ঠিক করুন: ব্র্যান্ড যদি তরুণদের জন্য হয়, তবে উজ্জ্বল এবং প্রাণবন্ত রঙ ব্যবহার করুন।
- কনট্রাস্ট তৈরি করুন: ব্যাকগ্রাউন্ড এবং বাটনের রঙ এমনভাবে নির্বাচন করুন, যাতে ভিজিটরদের নজরে পড়ে।
- টেস্টিং করুন: ভিজিটরদের প্রতিক্রিয়া বুঝতে বিভিন্ন রঙ ব্যবহার করে A/B টেস্টিং করুন।
রঙ ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে শুধু দৃষ্টিনন্দন নয়, এটি ভিজিটরের মনে আবেগ সৃষ্টি করে, সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রভাব ফেলে এবং ব্র্যান্ডের প্রতি আস্থা বাড়ায়। সঠিক রঙের ব্যবহার আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটের সাফল্যকে বহুগুণ বাড়িয়ে তুলতে পারে।
4.4) Topical Map: ব্লগের জন্য কন্টেন্ট প্ল্যান
টপিক্যাল ম্যাপ একটি কৌশল যেখানে একটি নির্দিষ্ট বিষয় বা নিসের চারপাশে সম্পর্কিত বিষয়বস্তু গুছিয়ে তৈরি করা হয়। এটি মূলত বিষয়ভিত্তিক পরিকল্পনা, যেখানে বিষয়ের প্রধান উপাদান ও উপ-বিষয়গুলো পরিষ্কারভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়।
একটি ব্লগে টপিক্যাল ম্যাপ কেন গুরুত্বপূর্ণ?
- SEO উন্নত করে: সার্চ ইঞ্জিনের জন্য সুনির্দিষ্ট বিষয়বস্তু তৈরি করতে সাহায্য করে।
- পাঠকের জন্য সহজবোধ্য: পাঠকেরা সহজে সম্পর্কিত তথ্য পায়।
- এথরিটি তৈরিতে সহায়ক: একটি নিসে ব্লগের বিশেষজ্ঞতা প্রমাণ করে।
- বিষয়বস্তু পরিকল্পনা সহজ করে: ভবিষ্যতের পোস্ট তৈরির জন্য একটি গাইডলাইন দেয়।
টপিক্যাল ম্যাপ একটি ব্লগকে সুনির্দিষ্ট ও প্রাসঙ্গিক তথ্যভান্ডারে রূপান্তরিত করতে সাহায্য করে।
ওয়ার্ডপ্রেস ডিজাইনে টপিক্যাল ম্যাপ কেন গুরুত্বপূর্ণ?
ওয়ার্ডপ্রেস ডিজাইনের সময় টপিক্যাল ম্যাপ ব্যবহার করলে ব্লগ বা ওয়েবসাইটের গঠন আরও সুসংগঠিত এবং ব্যবহারকারীদের জন্য সহজপাঠ্য হয়। এর গুরুত্ব:
- ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা উন্নত করে: টপিক্যাল ম্যাপ অনুসারে সাইটের নেভিগেশন ডিজাইন করলে পাঠকরা সহজেই প্রয়োজনীয় তথ্য খুঁজে পায়। ভিজিটররা সহজেই সম্পর্কিত কন্টেন্ট খুঁজে পায়।
- SEO অপ্টিমাইজেশন বৃদ্ধি করে: টপিক্যাল ম্যাপ অনুযায়ী কনটেন্ট ক্যাটাগরি, ট্যাগ এবং পেজ লিংকিং করলে সার্চ ইঞ্জিন র্যাঙ্কিং উন্নত হয়। গুগল বুঝতে পারে যে আপনি একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞ।
- স্ট্রাকচার্ড ডিজাইন তৈরি করে: টপিক্যাল ম্যাপ অনুযায়ী মেনু এবং সাব-মেনু তৈরি করলে সাইটের স্ট্রাকচার পরিষ্কার হয়। একটি নির্দিষ্ট টপিকের জন্য সব ধরনের প্রশ্ন ও সমস্যার উত্তর দেওয়ার কন্টেন্ট তৈরি করা হয়।
- রিলেটেড কনটেন্ট প্রদর্শন: প্রাসঙ্গিক পোস্ট বা পেজ দেখানোর সুবিধা দিয়ে পাঠকদের সাইটে দীর্ঘক্ষণ ধরে রাখে।
- ইন্টারনাল লিংকিং সহজ করে: টপিক্যাল ম্যাপ অনুসারে কন্টেন্ট তৈরি করলে পেজগুলোর মধ্যে সহজেই লিংক তৈরি করা যায়।
- দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা সহজ করে: ডিজাইন এবং বিষয়বস্তু তৈরির মধ্যে সমন্বয় ঘটিয়ে ভবিষ্যতে কনটেন্ট আপডেট সহজ করে।
ওয়ার্ডপ্রেস সাইটে টপিক্যাল ম্যাপ ব্যবহার করলে সাইটটি আরও কার্যকর, ব্যবহারকারীদের কাছে গ্রহণযোগ্য এবং SEO-ফ্রেন্ডলি হয়।
টপিক্যাল ম্যাপ একটি কৌশল, যেখানে আপনি একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে কন্টেন্টের গঠন নির্ধারণ করেন।
উদাহরণ: আপনার টপিক যদি “এয়ার ফ্রায়ার” হয়, তাহলে এর জন্য টপিক্যাল ম্যাপ হতে পারে:
- এয়ার ফ্রায়ার কেনার গাইড।
- রেসিপি।
- পরিষ্কার করার গাইড।
- সাধারণ সমস্যা এবং সমাধান।
ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগিং আপনার ব্লগিং যাত্রা সহজ করে তোলে। তবে সঠিক ডিজাইন, রঙের ব্যবহার এবং টপিক্যাল ম্যাপ ছাড়া ব্লগকে সফল করা কঠিন। তাই আপনারা যদি আজ শেখা পয়েন্টগুলো বাস্তবে ব্যবহার করেন, তাহলে ব্লগিংয়ে সাফল্য আসবেই।
আমরা এই তিনটি বিষয় (Topical Map, Color and WordPress Design) খেয়াল রেখে সঠিকভাবে করে দেবো যেগুলো সার্চইঞ্জিনে র্যাঙ্ক করতে সহায়তা করবে।
Design and Topical Map
আপনার বাছাই করা নিস অনুযায়ি আমরা এই তিনটি বিষয় (Topical Map, Color, and WordPress Design) ফলো করে আপনার সাইট অপ্টিমাইজ করে দেবো, যা সার্চ ইঞ্জিনে র্যাঙ্ক করতে সহায়ক হবে।
5. Blog Writing
এখানে আমি আলোচনা করব কীভাবে ChatGPT এবং GPTs (কাস্টম মডেল) দিয়ে আর্টিকেল লেখা যায়। পাশাপাশি বুঝব, এই মডেলগুলো কনটেন্ট তৈরিতে কীভাবে সাহায্য করে এবং SEO-ফ্রেন্ডলি লেখা তৈরির ক্ষেত্রে তাদের ভূমিকা।
তার আগে জেনে নিনঃ আপনি হয়তো ভাবছেন AI আর্টিকেল দিয়ে ব্লগিং এ কোন ভবিষ্যৎ নেই, আমার জানামতে ৯৫% ব্লগার এখন AI কন্টেন্ট এর উপর নির্ভরশীল। চিনারা AI Robot দিয়ে তাদের ডেইলি কাজগুলো করাই নিচ্ছে, AI Robot দিয়ে শপিং মলে গুলো কন্ট্রোল করতেছে, তাহলে আমরা পারবোনা কেন? AI কি মিথ্যা তথ্য দেয়? AI (specially ChatGPT) কখনো ভুল তথ্য দেয়না, একটু অতিরঞ্জিত লেখা প্রদান করে শুধু। সেজন্য আপনাকে এটা কন্ট্রোল করে জানতে হবে ভাল আর্টিকেল পেতে হলে।
“High quality SEO optimized article” মানে এমন একটি আর্টিকেল, যা সার্চ ইঞ্জিনে ভালো র্যাঙ্ক পেতে টপিক, কীওয়ার্ড, এবং ফরম্যাটিং কৌশলগুলো সঠিকভাবে ব্যবহার করে তৈরি করা হয় যেমনটা SurferSEO টুলস দিয়ে করা হয়ে থাকে। আপনি যদি SurferSEO টুলস ব্যবহার করেন আর্টিকেল তৈরির করার জন্য তাহলে অনেক খরচ আপনাকে বহন করতে হবে, কিন্তু আমাদের নিজেদের তৈরি মডেল ব্যবহারে তেমন কোন অতিরিক্ত খরচ আসেনা এবং সেটাতে SurferSEO টুলস এর মত আউটপুট পাবেন। আমরা দীর্ঘদিন ধরে Custom GPTs ব্যবহার করে SEO ফ্রেন্ডলি কনটেন্ট লিখে আসছি (নিজেদের বানানো prompt ব্যবহার করে)। ইতিমধ্যে অনেক সাইট Google & Bing সার্চ ইঞ্জিনে র্যাঙ্ক করছে।
আমার নিজের তৈরি কিছু ChatGPT prompt (with Custom GPTs) দিয়ে আমি আমার ব্লগে আর্টিকেল দিই এবং আমি এতে সফলতা অর্জন ও করেছি। আর সেটা নিজের চোখেই দেখুন নিচের ভিডিও তেঃ
5.1) ChatGPT দিয়ে আর্টিকেল লেখা
ChatGPT এমন একটি এআই মডেল, যা খুব দ্রুত এবং নির্ভুলভাবে বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করে আর্টিকেল লিখতে পারে। ChatGPT দিয়ে আর্টিকেল লেখার সুবিধাগুলো হলো:
- দ্রুত কনটেন্ট তৈরি: কয়েক মিনিটের মধ্যে প্রাসঙ্গিক তথ্য দিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ আর্টিকেল লিখে ফেলা যায়।
- বিভিন্ন বিষয়ের উপর দক্ষতা: আপনি যেকোনো বিষয়েই এই টুল দিয়ে কনটেন্ট লিখতে পারবেন, তা প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য, ফুড ব্লগিং বা ভ্রমণ ব্লগ হোক।
- সময় সাশ্রয়ী: ম্যানুয়াল রিসার্চ এবং লেখার সময় বাঁচিয়ে এটি ব্লগার বা কনটেন্ট ক্রিয়েটরের কাজ সহজ করে তোলে।
- সঠিক গঠন: ChatGPT এমনভাবে লিখে, যা পাঠকদের জন্য সহজবোধ্য এবং আকর্ষণীয় হয়।
5.2) ChatGPT Vs GPTs (কাস্টম মডেল)
ChatGPT:
- এটি একটি জেনারেল AI মডেল, যা সাধারণ সব কাজের জন্য উপযুক্ত।
- এটি আগে থেকে প্রশিক্ষিত ডেটার উপর ভিত্তি করে কাজ করে।
- আপনি যেকোনো ধরনের লেখা চাইলে এটি খুব দ্রুত সরবরাহ করতে পারে।
GPTs (কাস্টম মডেল):
- কাস্টম মডেল হলো বিশেষভাবে নির্দিষ্ট একটি কাজের জন্য তৈরি AI মডেল।
- আপনি যদি একটি নির্দিষ্ট বিষয়, যেমন SEO, ফুড ব্লগিং, বা টেক ব্লগের জন্য কাজ করতে চান, তাহলে কাস্টম মডেল আরও কার্যকর।
- এটি আপনার নির্দেশনা অনুসারে রিসার্চ করে এবং প্রাসঙ্গিক তথ্য উপস্থাপন করে।
- এটির মাধ্যমে আপনি ন্যাচারালি Keywords (and keyword clusters) ব্যবহার করতে পারবেন।
- এটির মাধ্যমে SurferSEO টুল এর মত কন্টেন্ট তৈরি এবং অপটিমাইজ করতে পারবেন। আমরা যারা কনটেন্ট রাইটিং এবং SEO নিয়ে কাজ করি, তাদের জন্য SurferSEO একটি পরিচিত নাম। এটি একটি শক্তিশালী SEO টুল, যা আপনাকে আপনার কনটেন্টকে গুগল র্যাংকিং-এ নিয়ে যেতে সাহায্য করে। তদ্রূপ আপনি ChatGPT custom (GPTs) মডেল দিয়ে এই সুবিধাটি নিতে পারবেন।
তাদের মধ্যে পার্থক্য:
- সাধারণতা বনাম নির্দিষ্টতা: ChatGPT একটি জেনেরাল টুল, কিন্তু কাস্টম GPTs একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের জন্য বিশেষায়িত।
- কন্ট্রোল: কাস্টম মডেলে আপনি আরও নিয়ন্ত্রণ পাবেন। আপনি নিজের মতো করে এটি ট্রেনিং দিতে পারবেন।
- গুণগত মান: কাস্টম মডেলের আউটপুট প্রায়ই বেশি নির্ভুল এবং প্রাসঙ্গিক হয়।
5.3) GPTs দিয়ে SEO-ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল তৈরি করা কেন সহজ?
- কি-ওয়ার্ড অপটিমাইজড কনটেন্ট: কাস্টম মডেল দিয়ে এমন কনটেন্ট তৈরি করা যায়, যা আপনার টার্গেট কি-ওয়ার্ডের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়।
- হেডিং ও সাবহেডিং: SEO-ফ্রেন্ডলি কনটেন্টের জন্য প্রয়োজন প্রাসঙ্গিক হেডিং ও সাবহেডিং। GPTs এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে সাজিয়ে দেয়।
- ইন্টারনাল ও এক্সটারনাল লিঙ্কিং: একটি ভালো আর্টিকেল তৈরি করতে হলে ইন্টারনাল ও এক্সটারনাল লিঙ্কিং গুরুত্বপূর্ণ। GPTs এই বিষয়টিও মাথায় রেখে কনটেন্ট তৈরি করে।
- রিডেবিলিটি স্কোর: SEO-তে সহজ ও বোধগম্য লেখা গুরুত্বপূর্ণ। GPTs এই দিকেও যত্নশীল।
- লং-টেইল কি-ওয়ার্ড ব্যবহার: লং-টেইল কি-ওয়ার্ড দিয়ে এমনভাবে আর্টিকেল তৈরি করা যায়, যা সহজে র্যাংক করে।
ChatGPT এবং কাস্টম GPTs কনটেন্ট ক্রিয়েটরের জন্য অসাধারণ একটি টুল। বিশেষ করে SEO-ফ্রেন্ডলি কনটেন্ট তৈরি করার জন্য কাস্টম মডেলগুলো আরও কার্যকর। তবে টুল ব্যবহার করার পাশাপাশি মানবিক টাচ দিতে ভুলবেন না। কারণ পাঠক সবসময় প্রাসঙ্গিক এবং সহজবোধ্য লেখা পড়তে চায়।
5.4) এসইও ফ্রেন্ডলি কনটেন্ট লেখার ধাপ
- কীওয়ার্ড রিসার্চ করুন: লেখা শুরু করার আগে প্রাসঙ্গিক কীওয়ার্ড খুঁজে বের করুন। লো কম্পেটিটিভ এবং লং-টেইল কীওয়ার্ড ব্যবহার করুন যা আপনার টার্গেট অডিয়েন্সের সাথে মানানসই।
- কনটেন্টের জন্য কৌশলগত শিরোনাম তৈরি করুন:
- শিরোনামে কীওয়ার্ড ব্যবহার করুন।
- হেডলাইন আকর্ষণীয় এবং পরিষ্কার করুন।
- H1, H2, H3 ট্যাগ ব্যবহার করে লেখা কাঠামোবদ্ধ করুন।
- মানসম্মত কনটেন্ট তৈরি করুন: এআই ব্যবহার করলেও কনটেন্ট যেন প্রাসঙ্গিক ও পাঠকের জন্য কার্যকরী হয় তা নিশ্চিত করুন। বুলেট পয়েন্ট, টেবিল এবং ছোট অনুচ্ছেদ ব্যবহার করুন যাতে পড়তে সুবিধা হয়।
- প্রথম প্যারাগ্রাফে কীওয়ার্ড রাখুন:আর্টিকেলের প্রথম ১০০ শব্দের মধ্যেই প্রধান কীওয়ার্ডটি রাখার চেষ্টা করুন। এটি সার্চ ইঞ্জিন এবং পাঠকের জন্য লেখা প্রাসঙ্গিক প্রমাণ করে।
- নেচারাল টোন বজায় রাখুন: যদিও এআই দিয়ে লেখা হচ্ছে, তবুও লেখাটি যেন মানুষের দ্বারা লেখা মনে হয়। অতিরিক্ত কীওয়ার্ড ঢোকানো থেকে বিরত থাকুন।
- ইন্টারনাল ও এক্সটারনাল লিংকিং:
- আপনার কনটেন্টের সাথে সম্পর্কিত অন্য আর্টিকেলের লিঙ্ক দিন (ইন্টারনাল লিংকিং)।
- বিশ্বাসযোগ্য ও প্রাসঙ্গিক সাইটের লিঙ্ক ব্যবহার করুন (এক্সটারনাল লিংকিং)।
- ছবি এবং মিডিয়া ব্যবহার করুন:
- কনটেন্টে ছবি, ভিডিও বা ইনফোগ্রাফিক যোগ করুন।
- ইমেজের জন্য Alt টেক্সট ব্যবহার করুন যাতে সেটিও এসইও-ফ্রেন্ডলি হয়।
- এআই জেনারেটেড লেখা হিউম্যানাইজ করুন:
- এআই দিয়ে লেখা হলেও পরে সেটি ম্যানুয়ালি এডিট করুন।
- অপ্রাসঙ্গিক বা অসংগতিপূর্ণ বাক্যগুলো ঠিক করুন।
- বাংলা ভাষার পাঠকদের জন্য টোনটি সহজ এবং প্রাসঙ্গিক রাখুন।
- মেটা ট্যাগ এবং মেটা ডিসক্রিপশন যুক্ত করুন: প্রতিটি পোস্টের জন্য এসইও-অপটিমাইজড মেটা ট্যাগ এবং ডিসক্রিপশন ব্যবহার করুন।
- SEO টুলস ব্যবহার করে অপটিমাইজ করুন: Yoast SEO বা Rank Math-এর মতো টুল দিয়ে চেক করুন আপনার কনটেন্ট এসইও-ফ্রেন্ডলি কিনা।
SEO Article Writing
আমরা আপনাকে কিভাবে SEO-friendly আর্টিকেল বানাতে হয় ইউজফুল তথ্য সহ এবং অতিরঞ্জিত লেখা যেন না আসে সেগুলো A to Z শিখিয়ে দেবো, যাতে আপনি নিজেই কনটেন্ট তৈরি করতে পারেন। আমরা আপনাকে সমস্ত Prompt প্রদান করব, যাতে ভবিষ্যতে কনটেন্ট লেখার জন্য অতিরিক্ত খরচ না আসে। তবে শুধুমাত্র ChatGPT Plus এ SEO-friendly এবং ইনফরমেটিভ আর্টিকেল লেখা সম্ভব।
6. SEO Framework
আপনারা যারা SEO শিখতে আগ্রহী, আজ আমি আপনাদের করাই তুগবেরক গুবুরের ফ্রেমওয়ার্কের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক বোঝানোর চেষ্টা করব। করাই মূলত ডেটা-ড্রিভেন এবং গভীর চিন্তাশীল পদ্ধতিতে SEO নিয়ে কাজ করেন। তার পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করলে আপনার সাইটে গুগলের সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশনের ফলাফল অনেক ভালো হবে।
6.1) টপিক্যাল অথরিটি তৈরি করা
SEO-তে সফল হতে হলে আপনাকে একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর বিশেষজ্ঞ হিসেবে প্রমাণ করতে হবে।
- আমি কীভাবে এটি করি? একটি টপিকের সাথে সম্পর্কিত যত প্রশ্ন, যত সমস্যা আছে, সেগুলোর উত্তর একসাথে দেওয়ার জন্য কন্টেন্ট ক্লাস্টার তৈরি করি।
- উদাহরণস্বরূপ, “এয়ার ফ্রায়ার রেসিপি” যদি আপনার টপিক হয়, তাহলে আপনাকে সব রেসিপি, টিপস, এবং ট্রাবলশুটিং গাইড তৈরি করতে হবে।
6.2) সেমান্টিক SEO
গুগল এখন আর শুধুমাত্র কিওয়ার্ড দেখে না। গুগল “কনটেক্সট” এবং “এন্টিটি” বোঝার চেষ্টা করে।
- তাই করাইয়ের মতে, আমাদের কনটেন্টকে সেমান্টিকভাবে সমৃদ্ধ করতে হবে।
- আমি কীভাবে করব?
- Structured Data যোগ করব।
- সম্পর্কিত বিষয় ও শব্দ যোগ করব, যেমন “এয়ার ফ্রায়ার টিপস” এর সাথে “হেলদি কুকিং” বা “কিচেন গ্যাজেটস” এর মতো শব্দ ব্যবহার করব।
6.3) ইন্টারনাল লিংকিং অপ্টিমাইজেশন
করাই দেখিয়েছেন, একটি ওয়েবসাইটের ইন্টারনাল লিংকিং যদি সঠিকভাবে করা হয়, তাহলে গুগল সেই সাইটকে দ্রুত র্যাংক করতে সাহায্য করে।
- আমি প্রতিটি কন্টেন্টকে একে অপরের সাথে যুক্ত রাখি যেন ভিজিটর একটি পেজ থেকে অন্য পেজে সহজে যেতে পারে।
- ধরুন, আপনি যদি “এয়ার ফ্রায়ার ক্লিনিং গাইড” লিখেন, তাহলে সেই পেজে “এয়ার ফ্রায়ার কেনার গাইড” লিংক করতে পারেন।
6.4) সার্চ ইন্টেন্ট বোঝা
গুগল এখন “ইউজার ইন্টেন্ট” বা ব্যবহারকারীর উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করে।
- ধরুন কেউ “বেস্ট স্মল এয়ার ফ্রায়ার” লিখছে। তাদের উদ্দেশ্য কী? তারা কিনতে চায়।
- তাহলে আপনাকে কন্টেন্ট লিখতে হবে যাতে তারা কেনার সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
6.5) বিহেভিয়োরাল মেট্রিকস বিশ্লেষণ
আপনার সাইটের ভিজিটররা কীভাবে আচরণ করছে, তা গুগলের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
- আমি এই জন্য কন্টেন্ট এমনভাবে লিখি, যা ভিজিটরকে আরও বেশি সময় ধরে রাখবে (দুই মিনিটের বেশি)।
- ভিজিটর যেন একটি পেজ দেখে দ্রুত ফিরে না যায়, সে জন্য সুন্দর হেডিং, ছবির ব্যবহার এবং সহজ ভাষায় লেখা নিশ্চিত করি।
6.6) হোলিস্টিক SEO স্ট্র্যাটেজি
এখানে করাই পুরো সাইটের সব দিককেই গুরুত্ব দেন।
- টেকনিক্যাল SEO ঠিক রাখতে হবে, যেমন: সাইটের লোডিং স্পিড।
- অন-পেজ SEO নিশ্চিত করতে হবে, যেমন: হেডিং ট্যাগ, মেটা ট্যাগ।
- অফ-পেজ SEO এর জন্য ভাল ব্যাকলিংক তৈরি করতে হবে।
SEO এর ভবিষ্যত: 2025 কৌশল নিয়ে করাই এর আলোচনাঃ
শেষ কথা: এসব কৌশল আমি নিজের কাজেও ব্যবহার করি এবং এটা আপনাদেরও করতে বলব। করাইয়ের পদ্ধতিগুলো শুধু সার্চ ইঞ্জিনের জন্য নয়, ভিজিটরের অভিজ্ঞতাকেও উন্নত করে। আপনারা যদি এগুলো ঠিকভাবে ব্যবহার করেন, তাহলে আপনার সাইট অবশ্যই ভালো র্যাংক পাবে।
7) Link Building (লিঙ্ক বিল্ডিং কী এবং এটি কেন গুরুত্বপূর্ণ?)
এখানে আমরা আলোচনা করব লিঙ্ক বিল্ডিং নিয়ে। এটি এমন একটি বিষয়, যা একজন ব্লগার বা নিস ব্লগারের সাফল্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। লিঙ্ক বিল্ডিং সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকলে আপনি আপনার ব্লগের ট্রাফিক বাড়াতে এবং সার্চ ইঞ্জিন র্যাংকিং উন্নত করতে পারবেন।
লিঙ্ক বিল্ডিং কী?
লিঙ্ক বিল্ডিং হলো এমন একটি প্রক্রিয়া, যেখানে আপনি অন্য ওয়েবসাইট থেকে আপনার ওয়েবসাইটের জন্য লিঙ্ক সংগ্রহ করেন। এই লিঙ্কগুলোকে আমরা বলি ব্যাকলিঙ্ক।
যখন একটি ভালো মানের ওয়েবসাইট আপনার সাইটে লিঙ্ক দেয়, তখন সার্চ ইঞ্জিন বুঝতে পারে যে আপনার কনটেন্ট প্রাসঙ্গিক এবং মানসম্পন্ন। ফলে এটি আপনার সাইটের র্যাংকিং উন্নত করতে সাহায্য করে।
সহজভাষায় বলি, ব্যাকলিঙ্ক হচ্ছে এক ধরনের ভোট, যেমনটা নির্বাচনে হয়। যে যত বেশি ভোট পায় সে নির্বাচনে জয়লাভ করে। ওয়েবসাইট বা ব্লগের ক্ষেত্রে পার্থক্য টা হলো আপনার relevant (প্রাসঙ্গিক) ব্যাকলিঙ্ক (backlinks) লাগবে, অর্থাৎ relevant সাইট থেকে আপনাকে backlinks নিতে হবে। এছাড়া ও মানসম্মত এবং হাই অথরিটি সাইট থেকে backlinks নিতে হবে।
লিঙ্ক বিল্ডিং-এর প্রকারভেদ
১. Internal Linking (ইন্টারনাল লিঙ্কিং):
- এক পৃষ্ঠার কনটেন্ট থেকে আপনার সাইটের অন্য পৃষ্ঠায় লিঙ্ক দেওয়া।
- এটি ভিজিটরদের জন্য সহজ করে তোলে আপনার সাইটের বিভিন্ন পৃষ্ঠা ব্রাউজ করতে।
২. External Linking (এক্সটার্নাল লিঙ্কিং):
- আপনার সাইট থেকে অন্য সাইটে লিঙ্ক দেওয়া।
- এটি বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে সাহায্য করে।
৩. Backlinks (ব্যাকলিঙ্ক):
- অন্য সাইট থেকে আপনার সাইটে লিঙ্ক আসা।
- এটি লিঙ্ক বিল্ডিং-এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
লিঙ্ক বিল্ডিং কেন গুরুত্বপূর্ণ?
বর্তমান ব্লগিং বাজার অনেকটা কঠিন হয়ে দাড়িয়েছে, সেজন্য শুধু মানসম্মত আর্টিকেল দিয়ে সফলতা সহজে আসেনা। এজন্য লিঙ্ক বিল্ডিং টা অনেক প্রয়োজন হয়ে দাড়িয়েছে, একপ্রকার বলতে গেলে লিঙ্ক বিল্ডিং টা বাধ্যতামুলক হয়ে গেছে। এটি কিভাবে আমাদের সহযোগিতা করে তা নিচে আলোচনা করলামঃ
১. SEO উন্নত করতে সাহায্য করে:
সার্চ ইঞ্জিন, যেমন গুগল, ব্যাকলিঙ্ককে একটি “ভোট” হিসেবে দেখে। ভালো মানের লিঙ্ক যত বেশি, আপনার সাইটের র্যাংক তত ভালো।
২. ওয়েবসাইটের ট্রাফিক বাড়ায়:
অন্য সাইট থেকে আসা লিঙ্কের মাধ্যমে সরাসরি ভিজিটর আপনার সাইটে আসতে পারে।
৩. বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধি করে:
যদি কোনো প্রভাবশালী ওয়েবসাইট আপনার সাইটে লিঙ্ক দেয়, তাহলে তা ভিজিটরদের কাছে আপনার সাইটকে আরও বিশ্বাসযোগ্য করে তোলে।
৪. নিস ব্লগারদের জন্য অত্যন্ত কার্যকর:
- একটি বিশেষ বিষয় নিয়ে ব্লগ লিখলে লিঙ্ক বিল্ডিংয়ের মাধ্যমে টার্গেটেড অডিয়েন্স টানা যায়।
- এটি নতুন ব্লগারদের দ্রুত পরিচিতি লাভে সাহায্য করে।
লিঙ্ক বিল্ডিং কৌশল
১. গেস্ট পোস্টিং:
আপনার কনটেন্টকে অন্য ব্লগে প্রকাশ করুন এবং সেই কনটেন্ট থেকে আপনার সাইটে একটি লিঙ্ক যোগ করুন।
২. ব্রোকেন লিঙ্ক বিল্ডিং:
অন্য ওয়েবসাইটে ভাঙা লিঙ্কগুলো চিহ্নিত করুন এবং তাদের আপনার সাইটের প্রাসঙ্গিক লিঙ্ক দিতে বলুন।
৩. ইনফোগ্রাফিক শেয়ার করা:
আকর্ষণীয় ইনফোগ্রাফিক তৈরি করে তা শেয়ার করুন। অন্য সাইট এটি ব্যবহার করলে তারা সাধারণত আপনার সাইটে লিঙ্ক দেয়।
৪. প্রাসঙ্গিক ডিরেক্টরিতে যোগদান:
আপনার ব্লগকে বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক ডিরেক্টরিতে সাবমিট করুন। এটি সহজে ব্যাকলিঙ্ক পাওয়ার একটি পদ্ধতি।
৫. সোশ্যাল শেয়ারিং:
সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনার কনটেন্ট শেয়ার করুন। এটি ট্রাফিক বাড়ানোর পাশাপাশি লিঙ্ক বিল্ডিংয়ের জন্য সাহায্য করে।
গুরুত্বপূর্ণঃ লিঙ্ক বিল্ডিং অনেকভাবে করা যায়, আর সেটা যদি এখানে বিশ্লেষণ করি তাহলে ২/৩ দিন লাগতে পারে শুধু রিড করতে। সেজন্য সংক্ষেপে উপরে কিছু উদাহরণ দিলাম।
লিঙ্ক বিল্ডিং করার সময় যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে
১. কোয়ালিটি বনাম কোয়ান্টিটি:
- ব্যাকলিঙ্কের সংখ্যা নয়, গুণগত মান বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
- নিম্নমানের ওয়েবসাইট থেকে লিঙ্ক আপনার SEO-তে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
২. প্রাসঙ্গিক ওয়েবসাইট নির্বাচন করুন:
- আপনার নিস বা বিষয়ের সাথে প্রাসঙ্গিক ওয়েবসাইট থেকে লিঙ্ক সংগ্রহ করুন।
৩. লিঙ্কের প্রকার:
- চেষ্টা করুন ডোফলো (dofollow) লিঙ্ক পেতে। এটি আপনার SEO-তে সরাসরি প্রভাব ফেলে।
লিঙ্ক বিল্ডিং কেবল SEO-এর জন্য নয়, এটি আপনার ব্লগের সামগ্রিক সাফল্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটি যদি সঠিকভাবে করা যায়, তাহলে আপনার ব্লগ দ্রুত জনপ্রিয় হতে পারে।
Start with Google Entity Stack
Google Entity Stacking একটি অত্যাধুনিক SEO কৌশল, যা Google Sites, Blogger, Docs, Sheets ইত্যাদি Google প্রোপার্টিজের একটি আন্তঃসংযুক্ত নেটওয়ার্ক তৈরি করে আপনার ব্লগের অথরিটি এবং র্যাঙ্ক করতে সহযোগিতা করে।
বাংলা আমি তেমন ভালভাবে লিখতে পারিনা, সেজন্য ভুল হলে ও কস্টকরে পড়ে নিবেন। আপনারা যদি কোনো নির্দিষ্ট অংশ নিয়ে আরও বিস্তারিত জানতে চান, আমাকে জানাবেন।